বাংলাদেশে নারী নির্যাতন উদ্বেগজনক, দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সমাজের প্রতিটি স্তরে গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীরা প্রতিনিয়ত সহিংসতা, হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশে নারী নির্যাতন উদ্বেগজনক
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সালে দেশে ধর্ষণের ঘটনা এবং পারিবারিক সহিংসতার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ধর্ষণের শিকার একাধিক নারীর মধ্যে কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকিতে পড়ছেন, আবার অনেকেই সামাজিক ও পারিবারিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন।
আরো পড়ুন – হবিগঞ্জে ট্রাকচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত
আন্তর্জাতিক খবর | সর্বশেষ বিশ্ব সংবাদ
এক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতি ও আইনের প্রয়োগে দুর্বলতা নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। নারী নির্যাতনের শিকার একজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকভাবে বলেন, “আমার উপর হওয়া নির্যাতনের পর আমি ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা করেছিলাম, কিন্তু আদালতের দীর্ঘসূত্রিতা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাবের কারণে আমি আজও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত।” কর্মক্ষেত্রে নারীরা প্রতিনিয়ত হয়রানি ও বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন।
সমান কর্মপরিসরে নারী ও পুরুষের মজুরি বৈষম্য এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি নারীদের পেশাগত উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ নারী তাদের সহকর্মী বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারা হয়রানির শিকার হন, কিন্তু সুষ্ঠ বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন।
শিক্ষাক্ষেত্রেও নারীরা বিভিন্ন ধরণের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। গ্রামীণ এলাকার অনেক মেয়ে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শুধুমাত্র নিরাপত্তাহীনতার কারণে। স্কুল ও কলেজে যাওয়ার পথে ইভ টিজিং এবং অন্যান্য হয়রানির ঘটনায় অনেকেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। নারী নির্যাতনের এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সুপারিশ দিয়েছেন। বাংলাদেশে নারী নির্যাতন উদ্বেগজনক
আইনের কঠোর প্রয়োগ: নারী নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় দ্রুত এবং কার্যকর বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি: নারীদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে এবং তাদের সুরক্ষার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা: কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে এবং হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন: সমাজে নারীর প্রতি সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা এবং নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচেষ্টা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজে নারীদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য।
লেখক: আছমা জান্নাত মনি
Pingback: বাংলাদেশের বেকারত্ব ও কোটাবিরোধী আন্দোলন ২০২৪ - Cakri Kujun
you are in reality a good webmaster The website loading velocity is amazing It sort of feels that youre doing any distinctive trick Also The contents are masterwork you have done a fantastic job in this topic
Real Estate You’re so awesome! I don’t believe I have read a single thing like that before. So great to find someone with some original thoughts on this topic. Really.. thank you for starting this up. This website is something that is needed on the internet, someone with a little originality!